• ০৫ জুলাই, ২০২৫

ভোটের মাঠে বিএনপি জামাতের নতুন সমীকরণ

ভোটের মাঠে বিএনপি জামাতের নতুন সমীকরণ

নতুন সমীকরণের মধ্য দিয়ে ভোটের মাঠে প্রবেশ করছে বিএনপি ও জামায়াত। কেশবপুর আসনে দুই দলের প্রার্থীরা নিজের ভোটব্যাংক তৈরি করতে তৎপর।

ঢাকা: ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে বিএনপি ও জামায়াত। এ দুই দলের মধ্যে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং কৌশল নির্ধারণ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্টের পর, যখন রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে গেছে, তখন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এ দুটি দল নতুন করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে তৎপর। দীর্ঘদিনের সাবেক জোট সঙ্গী বিএনপি ও জামায়াত, নিজেদের হারানো আসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ভোটের মাঠে সক্রিয় আছেন একাধিক প্রার্থী। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুস সামাদ বিশ্বাস এবং উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোক্তার আলী প্রার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনটি কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪ জন। নির্বাচনী ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই আসনে একাধিকবার সীমানা পরিবর্তন ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য প্রথম বিজয়ী হন। পরবর্তী সময়ে এ আসনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একে একে নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, ভোটের মাঠে নতুন সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, বিএনপি ও জামায়াত, দুই দলই নিজ নিজ শক্তি বাড়ানোর জন্য সাধারণ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। দলীয় ভোটের পাশাপাশি, প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ বলেন, “তারেক রহমান জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন, তাই আমরা মাঠ প্রস্তুত করছি। দলের নেতাকর্মীরা এখন গায়েবি মামলার আসামি হলেও তাদের মনোবল চাঙা করার চেষ্টা চলছে।”

অন্যদিকে, বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু জানান, "তাঁর এবং দলের অন্যান্য নেতারা ৩১ দফার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছেন। কেশবপুরের মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, আর আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি রাজপথে ছিলেন।"

জামায়াতের কেশবপুর উপজেলা আমির অধ্যাপক মোক্তার আলী একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তিনি বলেন, “জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। আমরা প্রতিটি গ্রামে নারী কর্মীসহ দলের কর্মীদের দিয়ে মানুষের কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছাচ্ছি। যারা হিংসা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, জনগণ তাদের বর্জন করবে।”

এভাবে বিএনপি ও জামায়াত, দুই দলই আগামী নির্বাচনে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্ব সহকারে ভোটারদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে কাজ করছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ এবং দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করবে। 

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

How puzzling all these changes are! I'm never sure what I'm going to turn into a tidy little room.