Loading...

  • ২১ মে, ২০২৫

কুষ্টিয়ার তামাকখেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার তামাকখেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ১২ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর এক নারীর মরদেহ তামাকখেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্দেসী বালা দাসী (৪৫) নামের ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশ কর্তৃপক্ষের। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ১২ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান গ্রামের একটি তামাকখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

নিহত নারীর নাম সন্দেসী বালা দাসী (৪৫)। তিনি মশান গ্রামের ঋষিপাড়ার বাসিন্দা ঝন্টু দাসের স্ত্রী।  শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ ধারণা করছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সন্দেসী বালা বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গতকাল সন্ধ্যায় রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য পাতা কুড়াতে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা রাত সাড়ে আটটার পর থেকে তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন, তবে কোন খোঁজ মেলেনি। আজ সকালে স্থানীয় কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে তামাকখেতে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিন্নাহ আলী খান জানান, সন্দেসী বালা গতকাল সন্ধ্যায় পাতা কুড়াতে বাড়ির পাশের বাগানে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় পর ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন, কিন্তু তাঁকে কোথাও পাওয়া যায়নি। সকালে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। মিরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্দেসী বালার কানে সোনার দুল ছিল, যা পাওয়া যায়নি। যে তামাকখেতে লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে মাদকের আড্ডা বসে বলে জানা যায়।

পারিবারিক সদস্য গণেশ দাস বলেন, “সন্দেসীর সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না। তিনি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। কেন এবং কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না।”

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং পুলিশের দল তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।