Loading...

  • ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা: গ্রেপ্তার ৭ জন রিমান্ডে

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা: গ্রেপ্তার ৭ জন রিমান্ডে

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে আদালত দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে

ঢাকা : গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে আদালত দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন—জামালপুরের মেলান্দহের মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, খুলনার আল-আমিন, পাবনার স্বাধীন ও ফয়সাল হাসান, কুমিল্লার শাহজালাল এবং শেরপুরের সুমন ওরফে সাব্বির। তাদের আদালত থেকেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

ঘটনার পটভূমি
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ফেলে যায়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তুহিন মারা যান। নিহতের ভাই সেলিম বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

পেশাগত ঝুঁকি ও তদন্তের চ্যালেঞ্জ
প্রাথমিকভাবে পুলিশ বলছে, হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতার পাশাপাশি পেশাগত কাজের সম্পর্কেও তদন্ত চলছে। গাজীপুরে সাংবাদিকদের ওপর আগে থেকেই নানা হুমকি ও চাপে কাজ করার প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং দুর্নীতি-অপরাধ চক্র নিয়ে রিপোর্টিং জীবননাশের মতো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো দোষীদের দ্রুত বিচার এবং সাংবাদিক নিরাপত্তা আইনের কার্যকর প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরাও বলছেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে নয়, গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তিকেও আঘাত করে।