Loading...

  • ২১ আগস্ট, ২০২৫

১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানতে বাধ্যতামূলক রিটার্ন

১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানতে বাধ্যতামূলক রিটার্ন

১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত এবং ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আয়কর রিটার্ন। মোট ২২টি কার্যক্রমে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য।

ঢাকা : কর ফাঁকি রোধ ও রাজস্ব আয় বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এখন থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত খোলার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও।

সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ সেবা বা কার্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য পাবে এবং এ সংক্রান্ত অন্য কোনও বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সেটিও এই ব্যাখ্যার আলোকে প্রয়োগযোগ্য হবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী যেসব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:

১. ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়
২. কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হওয়া
৩. আমদানি-রফতানি নিবন্ধন সনদ গ্রহণ বা নবায়ন
৪. ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন (সিটি করপোরেশন/পৌরসভা)
৫. সাধারণ বিমার সার্ভেয়ার লাইসেন্স নবায়ন
৬. জমি, ফ্ল্যাট বা ভবন লেনদেনের দলিল নিবন্ধন (নগর এলাকায়)
৭. চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলীসহ পেশাজীবীর সদস্যপদ নবায়ন
৮. বিবাহ ও তালাক নিবন্ধকের লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন
৯. ট্রেড বডি/বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ বা নবায়ন
১০. দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডরের লাইসেন্স নবায়ন
১১. ওষুধ, অগ্নি নির্বাপন, বিএসটিআই, কাস্টমসসহ বিভিন্ন লাইসেন্স
১২. গ্যাস সংযোগ (বাণিজ্যিক/শিল্প) গ্রহণ বা বজায় রাখা
১৩. আবাসিক গ্যাস সংযোগ (সিটি করপোরেশন এলাকায়)
১৪. বিদ্যুৎ সংযোগ (নগর বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়)
১৫. নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট গ্রহণ বা নবায়ন
১৬. ইটভাটা চালাতে পরিবেশ ছাড়পত্র
১৭. ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু ভর্তি
১৮. কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ গ্রহণ
১৯. আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন
২০. আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা
২১. স্থানীয় সরকার বা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া
২২. উৎপাদন বা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কর্মচারীর বেতন গ্রহণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ উদ্যোগ করনীতিতে স্বচ্ছতা আনবে এবং রাজস্বের আওতা আরও বাড়াবে। তবে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য কার্যকর সমন্বয় ও ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।