বেনাপোল দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ

বেনাপোল: অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানিঅনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেদিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে এই স্থলবন্দরদিয়ে ফল আমদানি বন্ধরয়েছে।

বেনাপোল আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতিরসাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্তবেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ফলভারত থেকে আমদানি করাহবে না।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলবন্দর দিয়ে ফল আমদানিহ্রাস পেয়ে অর্ধেকেরও নিচেচলে গেছে। আগে প্রতিদিন ফলআমদানিতে ২৫ কোটি টাকারাজস্ব আয় হতো, যাএখন ৫ কোটি টাকায়দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় ফল আমদানিকারকরা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়েরএকটি বড় অংশ আসেফল আমদানির মাধ্যমে। আর রমজান মাসেরআগে ফলের চাহিদা বেড়েযাওয়ার কথা, কিন্তু অতিরিক্তশুল্ককর আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধেরসিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাধারণত এখানে প্রতিদিন ৫০-৭০ ট্রাকফল আমদানি হতো, তবে বর্তমানেতা ২০-২২ ট্রাকেসীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

এতে আরও জানা যায়, ১৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তাজা ফলের ওপরশুল্ক ২০% থেকে ৩০% বাড়িয়ে দেয়। এর ফলস্বরূপবাজারে আমদানি করা ফলের সরবরাহকমে গেছে এবং দামবেড়ে গেছে, যা সাধারণ ক্রেতাদেরজন্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরাআগের মতো ফল আমদানিকরতে পারছেন না।

জিয়াউর রহমান বলেন, সরকার হঠাৎ করে ফলআমদানিতে ১০% শুল্ক বৃদ্ধিকরেছে, যার কারণে বেনাপোলসহদেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আমদানি একদম শূন্যের কোঠায়নেমে গেছে। এর ফলে ঢাকারবাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনসোমবার থেকে ফল আমদানিঅনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, গত মাস থেকে ভারতথেকে বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি কমেগেছে। এবং নতুন শুল্কআরোপের পর সোমবার থেকেব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধরেখেছেন। ঢাকার ফল আমদানিকারকরা জাতীয়রাজস্ব বোর্ডে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোনোউত্তর পাওয়া যায়নি।