• ২০ মে, ২০২৫

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে

২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবৈধ অনুপ্রবেশ ২৫% কমলেও, ভূমধ্যসাগরীয় রুটে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। ফ্রন্টেক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরী রুটে অভিবাসন প্রত্যাশী আগমন ৪৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ছে, তবে ইউরোপীয় সীমান্ত রক্ষায় সহায়তা বাড়িয়েছে ফ্রন্টেক্স।

ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত ও উপকূল সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স প্রকাশিত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমে প্রায় ২৫ হাজারে নেমেছে। অধিকাংশ রুটে অভিবাসন প্রত্যাশীর আগমন কমে গেলেও, কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটে দেখা গেছে বিপরীত প্রবণতা। এই রুটে বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

ফ্রন্টেক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম আফ্রিকার রুটে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।

পশ্চিম বালকান রুটে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আগমন সবচেয়ে কমেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৪ শতাংশ কম।

এদিকে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের জাতীয়তা শনাক্ত করা গেছে, তাদের মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং মালির নাগরিকেরা শীর্ষে রয়েছেন। যদিও পশ্চিম আফ্রিকান করিডোরে গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ হ্রাস ঘটেছে, তবুও এটি অবৈধ অভিবাসনের জন্য সবচেয়ে সক্রিয় রুট হিসেবে রয়েছে। জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে ৭ হাজার ২০০ অভিবাসন প্রত্যাশীর আগমন রেকর্ড করা হয়েছে, এবং বেশিরভাগই মালি, সেনেগাল এবং গিনি থেকে এসেছেন।

কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আগমন। এই রুটে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ জনের আগমন ঘটেছে, যা ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ইইউতে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় অভিবাসন রুট হয়ে উঠেছে। লিবিয়া এই রুটের প্রধান প্রস্থান বিন্দু, যেখানে পাচারকারীরা সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য শক্তিশালী স্পিডবোট ব্যবহার করে। বাংলাদেশি নাগরিকরা এ রুটে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। তাঁরা প্রায়ই লিবিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈধভাবে প্রবেশ করে, তারপর সমুদ্রপথে ইউরোপের পথে যাত্রা করেন।

ফেব্রুয়ারির শেষে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি ইইউতে তৃতীয় ব্যস্ততম অভিবাসন করিডোর ছিল, যেখানে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ অভিবাসন প্রত্যাশী পৌঁছেছেন। তবে, এই রুটে জাতীয়তা শনাক্তকরণ গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। শীতকালীন আবহাওয়ার কারণে চাপ কমে এসেছে এবং ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যা ২ হাজার ৭৫০–এ নেমে গেছে।

সমুদ্র পারাপার অভিবাসন প্রত্যাশীদের জীবনে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে, যেখানে অনেকেই সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) অনুমান করেছে যে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সমুদ্রে ২৪৮ জন মারা গেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ ছিল।

এদিকে, যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমেছে। তবে, জাতীয়তা শনাক্তকরণ সামান্য বেড়ে ৪ হাজার ৪০০ হয়েছে।

ফ্রন্টেক্স ইউরোপের সীমান্ত রক্ষায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে এবং ইইউ সীমান্ত বরাবর ২ হাজার ৯০০ কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে।

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

How puzzling all these changes are! I'm never sure what I'm going to turn into a tidy little room.