• ২০ আগস্ট, ২০২৫

অস্ত্র উদ্ধার শ্লথগতি: নির্বাচনের আগে অশনিসংকেত

অস্ত্র উদ্ধার শ্লথগতি: নির্বাচনের আগে অশনিসংকেত

বাংলাদেশে এখনো উদ্ধার হয়নি পুলিশের লুট হওয়া দেড় হাজারের বেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের আগে এগুলো উদ্ধারে জোর অভিযান চালাচ্ছে।

ঢাকা : সরকার পতনের পর লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এ তথ্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ৫ আগস্টের হামলায় ৬ হাজারের কাছাকাছি অস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ লুট হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৩৮৩টি অস্ত্র, কিন্তু বাকি ১ হাজার ৩৬৬টি এখনো অজ্ঞাত স্থানে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে-এই অস্ত্রগুলো কোথায়? পুলিশের নিজস্ব তদন্ত, সেনাবাহিনীর তথ্য এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে একটাই চিত্র ফুটে ওঠে- লুট হওয়া অস্ত্র ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে অপরাধী চক্র, রাজনৈতিক প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও মাদক সিন্ডিকেটের হাতে। গত এক বছরে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, ছিনতাই ও রাজনৈতিক সহিংসতায় এসব অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থতা একটি দ্বিমুখী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এরমধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা: নির্বাচনী মাঠে আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোণঠাসা করতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যেতে পারে। মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এ অস্ত্র নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদার মতে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার কোনো বিকল্প নেই। একই সুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন, উদ্ধার অভিযান একসময় থেমে গিয়েছিল, যার সুযোগে অপরাধীরা অস্ত্র গোপন বা পাচার করে ফেলেছে।
অস্ত্র উদ্ধারে সম্প্রতি আবার যৌথ অভিযান শুরু হলেও, বাকি সময় খুবই সীমিত। পুরস্কার ঘোষণা বা উৎসাহমূলক পদক্ষেপ পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে, তবে তা কার্যকর হবে কিনা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। নির্বাচনের আগে এই দেড় হাজার অস্ত্র উদ্ধার না হলে, সহিংসতা ঠেকাতে প্রশাসনের হিমশিম খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নিরাপত্তা বাস্তবতায় অস্ত্র উদ্ধার শুধু পুলিশের কাজ নয়-এটি এখন জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু। মাঠপর্যায়ের গোয়েন্দা তৎপরতা, সীমান্তে নজরদারি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার সমন্বয় ছাড়া এই অস্ত্র ফেরত আনা কঠিন। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে হলে এখনই কঠোর, দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
শ-হা-১২-০৮-২০২৫ ইং। 
 

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

How puzzling all these changes are! I'm never sure what I'm going to turn into a tidy little room.