• ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

গুলশান, বনানী এবং আশপাশের এলাকা থেকে অপরাধীরা অস্ত্র লুট করে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতি রাতে এসব এলাকায় নতুন নতুন ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। অথচ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

ঢাকার অপরাধের অন্যতম কেন্দ্র কড়াইল বস্তিতে প্রকাশ্যে চলছে অস্ত্রের মহড়া আর মাদকের ব্যবসা।  

 

প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এই এলাকায় অপরাধীরা নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত করছে।  তারা নিয়মিতভাবে বনানী, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতি করছে।    

 

শুধু তাই নয়, কড়াইল বস্তির অপরাধীরা রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত রয়েছে। সেইসঙ্গে নতুন অপরাধীদের আনাগোনা বাড়ায় বস্তির পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।    

 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কড়াইল বস্তি ঘিরে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। আগে থেকেই এই বস্তি ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাথাব্যথার অন্যতম  কারণ।   

 

 

রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন, প্রশাসনিক নজরদারির দুর্বলতা ও পুরনো অপরাধীদের সঙ্গে নতুন সন্ত্রাসীদের যোগসাজশে এখন অপরাধের মাত্রা আরও বেড়েছে।   

 

 

এখানে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়, মারধর ও অস্ত্রের মহড়া দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কড়াইল বস্তির অপরাধীরা এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ সাহস পাচ্ছে না।   

 

 

এই বস্তি থেকে একদিকে যেমন সন্ত্রাসীরা নানান অপরাধে জড়িত, তেমনি অন্যদিকে গুলশান-বনানীর বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে।  

 

সূত্রমতে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে কড়াইল বস্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি কমে যাওয়ায়, এই বস্তি এবং এর আশপাশের এলাকায় অপরাধীদের তৎপরতা বেড়েছে।   

 

 

কড়াইল বস্তি এখন গুলশান-বনানী এলাকার জন্য রীতিমতো  বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। বস্তি নিয়ে বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই বস্তির যেসব সন্ত্রাসী নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের অনেককেই পুলিশ চিহ্নিত করেছে। তবে এখনও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালিত হয়নি।   

 

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কড়াইল বস্তি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে অভিযোগ আসছে এবং শিগগিরই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হবে।   

 

 

এই বস্তি বনানী থানা এলাকায় অবস্থিত।, বস্তি এলাকার সন্ত্রাসীরা নিয়মিতভাবে বনানী, গুলশান এবং আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বনানী ১১ নম্বর রোডে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে।   

 

কড়াইল বস্তিতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি অনেকটা বেশি। সরকার পতনের দিন ও তার পরের কিছুদিন গুলশান-বনানী এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব হামলার সঙ্গে কড়াইল বস্তির সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় বেশ কিছু লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে লাইসেন্সধারী অস্ত্রও ছিল। বস্তির ভেতরে এসব অস্ত্র এখনও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   

 

 

একটি সূত্র জানিয়েছে, বনানী ও গুলশানের বিভিন্ন বাসা থেকে অন্তত ১০টি অস্ত্র লুট হয়েছে। ৭ আগস্ট বনানীতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়। ওই সময়ের হামলার পর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এখনো এসব অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  

 

এদিকে, কড়াইল বস্তি থেকে অপরাধীরা বনানী, গুলশান, বাড্ডা, কচুক্ষেত, খিলক্ষেত, ভাটারা, বেরাইদ, মহাখালী এবং তেজগাঁও এলাকায় গিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনে কড়াইল বস্তি সাধারণত স্বাভাবিক থাকে, তবে রাতে পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়। সন্ধ্যার পর থেকেই বস্তিতে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে যায়।  

 

 

 

 গুলশান, বনানী এবং আশপাশের এলাকা থেকে অপরাধীরা অস্ত্র লুট করে  বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতি রাতে এসব এলাকায় নতুন নতুন ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। অথচ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।  

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে বনানী থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কড়াইল বস্তি এলাকায় অভিযান চালানোর প্রস্তুতি চলছে। আমরা এখন তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি। তবে অস্ত্রের বিষয়টি আগে জানা ছিল না।  

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

Alice felt a very short time the Queen never left off staring at the Mouse's tail; 'but why do you.