ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। পথে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিথা এলাকায় এসে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে গেলে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপর অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশের একটি গাছে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদুল ইসলাম।
বুধবার(২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফরিদুল ইসলামের (৩৪) বাড়ি পাবনা সদরের রাজাপুরে হলেও তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি মানিকগঞ্জের ধানকোড়া গ্রামে।
মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ জানায়, আজ বুধবার সকালে ফরিদুল ইসলাম তার স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে মানিকগঞ্জের ধানকোড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বালিথা এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে যায়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি আরিচামুখী লেন থেকে ঢাকামুখী লেনে চলে যায়। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় ফরিদুল ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
অন্যদিকে, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা হেনা খাতুন ও রাইসুল ইসলাম আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপল চন্দ্র দাস বলেন, সুলতানার বাবার বাড়িতে মরদেহ দাফনের জন্য ধানকোড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় বালিথা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং এতে সুলতানার স্বামী ফরিদুল ইসলাম নিহত হন। তিনি আরও বলেন, পরিবারের আবেদনের পর মরদেহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে উভয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
-শ.হা/২০-১১-২০২৪ইং