কোনো নিরীহ মানুষ যেন মামলায়
হয়রানির শিকার না নয় : আইজিপি
পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারো নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইজিপি শনিবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।
আইজিপি পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপারদেরকে ফোর্সের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যকে অযথা ভিকটিমাইজ করা হবে না।
পুলিশ প্রধান জনগণের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পুলিশকে জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের সমস্যা বা অভিযোগ শুনতে হবে এবং তদানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইজিপি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা মোকাবেলায় পুলিশকে ধৈর্যের সঙ্গে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরো তরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন আইজিপি।
ডিআইজি (অপারেশনস) মোঃ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে অতিরিক্ত আইজি মোঃ গোলাম কিবরিয়া, অতিরিক্ত আইজি মোঃ আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত আইজি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ, ডিআইজি মোঃ কামরুল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পুলিশ সদর দফতর সুত্রে জানা গেছে, পটপরিবর্তনের পর যেসব পুলিশ সদস্য নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেননি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
ইতোমধ্যে তাদের বেতন ভাতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পলাতক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নিতে মামলাও করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য এখনও পলাতক রয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন ডিআইজি, সাতজন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুইজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাঁচজন সহকারী পুলিশ সুপার, পাঁচজন পুলিশ পরিদর্শক, ১৪ জন এসআই ও সার্জেন্ট, ৯ জন এএসআই, সাতজন নায়েক এবং ১৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবল।
এর আগে কাজে যোগদানের জন্য পুলিশ সদস্যদের জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব সদস্যরা সরকারের ডাকে সাড়া দেননি।
শ. হা /২৩-১১-২০২৪ ইং