Loading...

  • ২১ মে, ২০২৫

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান, চীন ও রাশিয়ার বৈঠক

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান, চীন ও রাশিয়ার বৈঠক

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চীন, রাশিয়া ও ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক থেকে দীর্ঘদিন ধরে থমকে থাকা আলোচনা পুনরায় শুরু করার আশা প্রকাশ করেছে চীন। আলোচনা, নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

ঢাকা : ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চীন, রাশিয়া এবং ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে আজ শুক্রবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীন আশা করছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে থমকে থাকা আলোচনা পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৫ সালে ইরান চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তির মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।

ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পরও এক বছর পর্যন্ত তেহরান চুক্তি মেনে চলেছিল, তবে পরে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে। এরপর থেকে চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে।

বেইজিংয়ের মতে, আজকের বৈঠকের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরুর তৎপরতা বাড়বে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিতে জানানো হয়, তিন কূটনীতিক ইরানের পারমাণবিক ইস্যু ও অভিন্ন স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে যে, চীন দ্রুতই আলোচনার পুনরায় শুরু হতে দেখতে চায়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে ইরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি নয়।

এ সপ্তাহেই ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার জন্য একটি চিঠি পাঠান এবং হুঁশিয়ারি দেন, ইরান যদি তা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তেহরান জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটি তারা এখন পর্যালোচনা করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাপ বা হুমকির মধ্যে না থাকলে এবং জনগণের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত হলে, তবেই ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবে।’