• ২১ মে, ২০২৫

চাকরিচ্যুত সাংবাদিক পিটার লালরের পাশে উসমান খাজা

চাকরিচ্যুত সাংবাদিক পিটার লালরের পাশে উসমান খাজা

অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক পিটার লালর চাকরিচ্যুত হওয়ার পর তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার উসমান খাজা। ফিলিস্তিনের পক্ষে লালর যে মন্তব্য করেছেন, তা ইসরাইলি দখলদারি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছিল বলে খাজা মন্তব্য করেছেন।

ঢাকা: ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার কারণে অস্ট্রেলিয়ান রেডিও সেএন রেডিওতে কাজ করা সাংবাদিক পিটার লালর চাকরিচ্যুত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চলাকালে যখন কমেন্ট্রি করছিলেন, তখন তিনি ফোনে জানতে পারেন যে, 'নীতিবিরুদ্ধ' কাজের জন্য তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান উসমান খাজা।

উসমান খাজা ইনস্টাগ্রামে পিটার লালরের পক্ষ নিয়ে তার সমর্থন জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি স্পষ্ট করেন যে লালরের মন্তব্য ছিল ইসরাইলি দখলদারি এবং দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে, এবং এতে কোনো ইহুদি বিদ্বেষ নেই।

সাংবাদিক পিটার লালর তার বিবৃতিতে বলেন, “আমাকে ফোনে জানানো হয়েছিল যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরে বলা হয় যে, পোস্টটি ভুল বোঝা হয়েছে এবং আমাকে ইহুদি বিদ্বেষী অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, যা আমি তীব্রভাবে নাকচ করি। আমাকে বলা হয় যে, আমার রিটুইটগুলো ভারসাম্যহীন এবং সংবেদনশীল নয়, এবং অনেকেই অভিযোগ করেছেন।” এর পরেই তিনি জানতে পারেন যে, তার চাকরি চলে গেছে।

ওই ঘটনার পর উসমান খাজা সোচ্চার হয়ে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “গাজার জনগণের পক্ষে দাঁড়ানো কখনোই ইহুদি বিরোধী নয়। এটি শুধুমাত্র ইসরাইলি সরকারের নৃশংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলা। এটি ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিষয়। দুঃখজনকভাবে, ইহুদি এবং মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি ঘৃণা সবসময়ই বিদ্যমান থাকবে। পিটার লালর একজন ভালো মানুষ এবং তিনি আরও ভালো কিছু প্রাপ্য।”
 

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

How puzzling all these changes are! I'm never sure what I'm going to turn into a tidy little room.