• ০৫ জুলাই, ২০২৫

মেডিকেল কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি স্থগিত

মেডিকেল কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি স্থগিত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিত। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরীক্ষার ফলাফল, কোটায় উত্তীর্ণদের সনদ যাচাই ও ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’

 

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. রুবীনা ইয়াসমিন জানান, ‘‘আমরা কোটায় উত্তীর্ণদের সনদ যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ করেছি এবং মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটায় উত্তীর্ণদের বিষয়ে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’’

 

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ৫ হাজার ৩৮০ পরীক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় এবং ৩৪৮ জন পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 

ভর্তি আবেদনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সাধারণ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৪টি আবেদন জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ৫৯ হাজার ৫৫৪ জন পাস করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মেধার ভিত্তিতে ৫ হাজার ৭২ জন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

এ বছর বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ বা ২৬৯ আসনের বিপরীতে ৬৮৬ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ১৯৩ জন পাস করেছেন, তবে ৪৯৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের ন্যূনতম পাস নম্বর অর্জন করতে পারেননি।

 

পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী কোটায় ৩৯টি আসনের বিপরীতে ১ হাজার ২০১ জন আবেদন করেন, যার মধ্যে ৩৪৮ জন পাস করেছেন। এই কোটায় প্রতি ৯ জনে একজন ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

 

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৬০ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, এবং পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৪৫.৬২ শতাংশ। ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসন এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

How puzzling all these changes are! I'm never sure what I'm going to turn into a tidy little room.