জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাদের ১২তম বৈঠকে চাকরির ক্ষেত্রে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। বৈঠক শেষে, জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। তিনি বলেন, ক্যাডার শব্দটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং এটি জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করে। কমিশন সুপারিশ করবে, ক্ষেত্র বিশেষে ক্যাডারের পরিবর্তে 'সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন', 'সিভিল সার্ভিস হেলথ' বা 'সিভিল সার্ভিস এগ্রিকালচার' ব্যবহার করা হোক।
মোখলেস উর রহমান আরও জানান, কমিশন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিদর্শন করেছে এবং সেখানকার সরকারি অফিসগুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা পেয়েছে। বিশেষ করে এসিল্যান্ড এবং রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির ব্যাপকতা লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি, গোপালগঞ্জের ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করার সময় দেখা গেছে, সেখানে কোনো চিকিৎসক বা নার্স নেই,। যা একটি বড় সমস্যা।
কমিশন আরও জানিয়েছিল যে, তারা দেশের বিভিন্ন শহরে জনগণের মতামত সংগ্রহ করছে। ইতোমধ্যে এক লাখ মানুষ অনলাইনে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। কমিশন তাদের সুপারিশ গ্রহণ করার জন্য কাজ করছে। কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তারা কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য তারা সুপারিশ করবেন। যাতে সরকারি অফিসগুলোতে দুর্নীতি কমানো যায়।
কমিশন রাজশাহী, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনগণের মতামত শুনছে। তারা একটি প্রশ্নমালা তৈরি করেছে, যাতে সাধারণ মানুষ জানাতে পারে, সরকারি অফিস সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন। কমিশন প্রধান আরও জানান, জনগণ সাধারণত সন্তুষ্ট নয় এবং এ কারণেই সরকার পরিবর্তন হয়েছে।
এভাবে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন জনগণের দুর্ভোগ দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে । পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। সূত্র : সমকাল।
শ.হা/০২-১২-২০২৪ ইং।