Loading...

  • ২১ মে, ২০২৫

নেইমারকে ভালো হতে দিল না চোট

নেইমারকে ভালো হতে দিল না চোট

চোটের কারণে আবারও মাঠের বাইরে নেইমার। ১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরলেও, নতুন চোটে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন তিনি। নেইমারের চোটের দীর্ঘ ইতিহাস এবং পুনরায় মাঠে ফেরার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছে এই প্রতিবেদন।

ঢাকা: একে একে ভাঙছে স্বপ্ন, আবারও সেই চিরন্তন গল্প ফিরে এলো—নেইমারকে খেলতে দিল না চোট। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র ১৬ মাস পর নেইমারকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। চোট আবারও এসে দাঁড়াল।

২ মার্চ সান্তোসের বিপক্ষে ব্রাগান্তিনোর ম্যাচে নেইমার পায়ের পেশিতে আঘাত পান। এর ফলস্বরূপ, তাকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন কোচ। নেইমারের কষ্ট বুঝতে ভুল হয়নি। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লিখেছেন, "মনে হচ্ছিল, ফিরে আসার খুব কাছাকাছি আছি। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জার্সি আমি এখন পরতে পারব না। সবাই জানে আমার ফেরার ইচ্ছা কতটা, কিন্তু আমরা ঝুঁকি না নিয়ে পুরোপুরি চোটমুক্ত হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।"

এখন প্রশ্ন হলো, নেইমার কি কখনো সম্পূর্ণভাবে চোটমুক্ত হতে পারবেন? ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে খেলার সময় তার বাঁ হাঁটুতে এসিএল এবং মেনিসকাস চোটে পড়েছিলেন। এসিএল চোটের পর সাধারণত দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়, আর সেই সঙ্গে চোটে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর আগে পিএসজিতে খেলতে গিয়ে নেইমারের ডান পায়ের মেটাটারসেল হাড় ভেঙেছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, একই হাড়ে বারবার ভাঙনের কারণে ভবিষ্যতেও চোটে পড়তে পারেন তিনি।

নেইমারের চোটের ইতিহাসও দুশ্চিন্তার কারণ। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর চোটের পরিসংখ্যান মোটেই সুখকর নয়। পেশাদার ক্যারিয়ারে ৭২৬টি ম্যাচ খেললেও, চোটের কারণে ২৪২ ম্যাচ মিস করেছেন। এ ছাড়া বিশ্রাম, অসুস্থতা এবং করোনা মহামারির কারণে মিস করেছেন আরও ২৩৭ ম্যাচ। অর্থাৎ, গত সাড়ে ১১ বছরে নেইমার চোটের কারণে প্রায় ৩ বছর ৭ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন।

সর্বশেষ মৌসুমে নেইমার দুই দফায় পেশী ও এসিএল চোটে পড়ে ৩৭১ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন এবং ৫৩ ম্যাচ মিস করেছেন। ২০১৮-১৯ মৌসুমেও ৭টি চোটে পড়ে মাঠের বাইরে ছিলেন ১৭৭ দিন, মিস করেছেন ৩৬টি ম্যাচ। ২০১৪-১৫ এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে চোট কম হলেও, বাকি মৌসুমগুলো ছিল চোটের দিক দিয়ে একেবারেই বাজে।

এতসব চোটের পরেও নেইমারের একটাই প্রশ্ন—কি কখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন? এই চোটের ইতিহাসের পরিসংখ্যান দেখে তার পুনরায় মাঠে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেছে।