• ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
CLOSE

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমরা চাইলেই তিন দিনের মধ্যে আবাসিক হল নির্মাণ করা সম্ভব না। তবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ আমরা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারবো। আমরা এর জন্য একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিন দিনের মধ্যে কাজটি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিও পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে নিজ অফিস থেকে নেমে এসে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, "এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কিংবা হল না থাকাটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দ্রুত এগুলোর বাস্তবায়ন করবো। শিগগিরই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণ করা হবে।"

তিনি আরও বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের সঙ্কট রয়েছে বিষয়টা আমি অবগত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পরিবারের একজন সদস্যও  পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থীদের দাবীর পক্ষে আমি একমত।'

তিনি বলেন, 'অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমরা চাইলেই তিন দিনের মধ্যে আবাসিক হল নির্মাণ করা সম্ভব না। তবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ আমরা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।  আমরা এর জন্য একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিন দিনের মধ্যে কাজটি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।"

সচিবালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের অপমানিত করার ঘটনায় নাহিদ ইসলাম বলেন, "যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন এবং তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন, তারা এজন্য ক্ষমা চাইবেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এদিকে, এর আগে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি এবং ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন জবি শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল, প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ অফিসার নিয়োগ, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের ঘোষণা, পুরাতন ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারী আমলে করা অনৈতিক চুক্তি বাতিল এবং বাকি ১১ একর জমি দ্রুত অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান, যেমন- "আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান"। "মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস"। "আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম"।
 

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

Alice felt a very short time the Queen never left off staring at the Mouse's tail; 'but why do you.