• ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
CLOSE

জামায়াতের সঙ্গে বিরোধে জড়াচ্ছে না বিএনপি

জামায়াতের সঙ্গে বিরোধে জড়াচ্ছে না বিএনপি

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক যাই হোক, নির্বাচনের জন্য তাদের রাজনৈতিক চাপ বজায় রাখতে হবে। কিন্তু দলটি চরম বৈরিতায় যেতে চাইছে না। জামায়াতের ক্ষেত্রেও নির্বাচনের কারণে একই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

বিএনপি এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াতে ইসলামী এবং গণ আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে কোনো বিরোধ বা বিবাদে না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলের এই কৌশল গৃহীত হয়েছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক যাই হোক, নির্বাচনের জন্য তাদের রাজনৈতিক চাপ বজায় রাখতে হবে। কিন্তু দলটি চরম বৈরিতায় যেতে চাইছে না। জামায়াতের ক্ষেত্রেও নির্বাচনের কারণে একই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

নির্বাচনের প্রশ্নে সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে বিএনপি নতুন বছরে মাঠে কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা করছে। এর আগে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব জনগণের কাছে পৌঁছাতে চায়। এই লক্ষ্যে দলটি ১০টি বিভাগীয় শহরে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করবে এবং ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মুদ্রিত পুস্তিকা সরবরাহ করবে। মাঠের নেতারা এসব প্রস্তাব নিয়ে দেশে গণসংযোগ করবেন। এরপর মার্চ-এপ্রিল থেকে নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপির এই ধারাবাহিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায় করা। বিএনপির নেতারা প্রতিদিন এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। ৮ নভেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিশাল শোভাযাত্রার লক্ষ্য ছিল সরকারের ওপর নির্বাচনের চাপ তৈরি করা। শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলটির নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবিলম্বে সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চলমান রাজনীতি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে, কারণ তারা তিন পক্ষ—অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াত ও ছাত্র নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় রাখতে চান।

যদিও বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনের পথে কিছু বাধা ও অস্পষ্টতা অনুভব করছেন। তাদের অনেকের আশঙ্কা, অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারে, এবং এই কারণে ছাত্রনেতাদের বক্তব্য ও তৎপরতা নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়েও বিএনপি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে, কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে বিএনপির প্রভাব সীমিত।

জানাগেছে, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপি জামায়াতে ইসলামীতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করছে। তারা দেখছেন, জামায়াত এখন বিএনপির পেছনে না থেকে স্বতন্ত্রভাবে ক্ষমতার দাবি তুলছে।

এদিকে, জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে সংবিধান সংস্কার, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের বিষয়ে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হচ্ছে। জামায়াত এসব বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তন চায়, কিন্তু বিএনপি এই দাবির বিপরীতে অবস্থান করছে।

দুজন নেতার মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জামায়াতের সঙ্গে বিরোধে না জড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন। BNP-এর স্থায়ী কমিটির সভায় জামায়াতের সঙ্গে বিরোধ এড়ানোর উপর আলোচনা হয়।

যদিও জামায়াতের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় কোনো আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তিনি উল্লেখ করেন যে রাজনৈতিক বিভাজন দেশের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।

বি্এনপির একটি সূত্র জানায়, দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়, এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আশা প্রকাশ করা হয়। দলের নেতারা আগামী ডিসেম্বরে সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ আশা করছেন, অন্যথায় মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের পরিবর্তন করতে হলে সময় দিতে হবে, কিন্তু গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরি।
অ-আ/১৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

Alice felt a very short time the Queen never left off staring at the Mouse's tail; 'but why do you.