• ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
CLOSE

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আদালত তার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে এই আদেশ দিয়েছেন। সোমবার, (১১ নভেম্বর ) আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। এর ফলে, খালেদা জিয়া এখন আপিল করার জন্য আদালতের অনুমতি পেলেন এবং তার সাজা কার্যকর হবে না

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন  আপিল বিভাগ। আদালত তার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে এই আদেশ দিয়েছেন। সোমবার, (১১ নভেম্বর ) আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। এর ফলে, খালেদা জিয়া এখন আপিল করার জন্য আদালতের অনুমতি পেলেন এবং তার সাজা কার্যকর হবে না আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, বিশেষ জজ আদালত-৫, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেন। পরে, হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ডে পরিণত করে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন। রবিবার (১০ নভেম্বর) উক্ত আবেদনগুলোর ওপর শুনানি শেষে সোমবার আপিল বিভাগ রায় স্থগিত করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, এবং দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান।

এই মামলার ইতিহাসে, ২০১০ সালে দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয় এবং তার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্যান্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়। এরপর হাইকোর্টে তার সাজা বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। খালেদা জিয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য আদালতের অনুমতি চান এবং ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন।

এছাড়া, খালেদা জিয়া ২০২০ সাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান, তবে ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া তার অপরাধের জন্য আদালতে নিজের নির্দোষতা প্রমাণ করতে চান এবং এজন্য আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

মামলার পটভূমি:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান এবং আরও ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে এবং খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা এবং অর্থদণ্ড দেয়। পরে, হাইকোর্টে সেই সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে, খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে মুক্তি পেলেও তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালু থাকে, কারণ আদালতের দেয়া দণ্ড বাতিল হয়নি।

 

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

Alice felt a very short time the Queen never left off staring at the Mouse's tail; 'but why do you.