ঢাকার আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে গিয়েছিলেন আন্দোলনে। এরপর শটগানের গুলিতে আহত হন পোশাক শ্রমিক চম্পা খাতুন (২৫)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন মোরশেদা বেগম (৩৫) নামে আরেক পোশাক শ্রমিক।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, আহত চম্পার পেটে, বুকে ও হাতে শটগানের গুলি বিদ্ধ হয়েছিল।
গত ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় জেনারেশন নিট ফ্যাশন কোম্পানির পোশাক কারখানার সামনে চম্পা, মোরশেদাসহ তিনজন আহত হন। আহতরা জানান, দেড় মাস আগে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এতে বিপাকে পড়েন কয়েক হাজার শ্রমিক।
বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ওই কারখানাসহ আশপাশের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করছিলেন। তাদের দাবি ছিল, তিন মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের। দাবি আদায়ে ২৩ অক্টোবর সকালে আন্দোলনে নামেন তারা। এসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায়। তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হয়। এক পর্যায়ে শটগানের গুলি ছুড়া হলে আহত হন চম্পাসহ তিনজন।
চম্পার ভাই স্বপন মিয়া জানান, তাদের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আহম্মেদপুর গ্রামে। চম্পা ওই কারখানায় সুইং অপারেটর ছিলেন। স্বামী মো. মিঠু ও এক মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়া দিয়াখালী এলাকায় থাকতেন তিনি।