• ০৫ জুলাই, ২০২৫

যাত্রীবাহী বিমানের রঙ কেন সবসময় সাদা হয়?

যাত্রীবাহী বিমানের রঙ কেন সবসময় সাদা হয়?

আপনি জানেন কি কেন যাত্রীবাহী বিমানগুলো সাধারণত সাদা রঙের হয়ে থাকে? এর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক এবং ব্যবহারিক কারণ, যেমন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সূর্যরশ্মির প্রতিফলন, ক্ষত চিহ্নিত করা এবং খরচ কমানো। আসুন, এই বিশেষ কারণে জানি কেন সব বিমানের রঙ সাদা হয়ে থাকে।

ঢাকা:প্লেনের ছবি না দেখেএমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর, যদিও তারা সত্যিকারেরপ্লেন দেখেনি। তবে, একটা বিষয়প্রায়ই মনে হয়প্রায়সব প্লেনই সাদা রঙের হয়।এটা কি কোনো নিয়ম? মজার বিষয় হল, সাদারঙের প্লেন হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।তাহলে কেন প্লেনের রঙসাদা হয়?

প্রায় সব যাত্রীবাহী বিমানেচড়লেই দেখা যায়, তাদেররঙ সাদা। বিমানের গায়ে সাধারণত কোম্পানিরলোগো এবং লেজের কাছেকিছু রঙ থাকে। তবেকেন বিমানের রঙ সাদা হয়, তার পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। চলুন, এই বিষয়ে বিস্তারিতজানি।

তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা

প্রথমত, বিমানের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা সঠিক রাখা। বিমানসূর্যের তীব্র রশ্মির সামনে থাকে, যার কারণে বিমানটিরযন্ত্রপাতি এবং কেবিন গরমহতে পারে। সাদা রঙ সেইরশ্মিকে শোষণ না করেপ্রতিফলিত করে। এতে বিমানটিগরমে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেওএর ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ে না। সাদারঙ এমনভাবে কাজ করে যেএটি কম তাপ শোষণকরে, ফলে গরমেও শান্তথাকে।

সূর্যরশ্মি প্রতিফলন

বিমান যখন উড়ছে, তখনসেটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সরাসরি সংস্পর্শে আসে। উড়ার উচ্চতাযত বাড়ে, ততই অতিবেগুনি রশ্মিরঝাপটা বেড়ে যায়। সাদারঙ সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করতে সক্ষম, ফলেবিমানটি সুরক্ষিত থাকে। সাদা রঙ ৯৯শতাংশ সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে, যা বিমানেরক্ষতির হাত থেকে রক্ষাকরে।

ক্ষত চিহ্নিত করা সহজ

যাত্রীবাহী বিমানের গায়ে বা ডানায়কোনো ফাটল বা আঁচড়পড়লে, সাদা রঙের কারণেতা সহজে দেখা যায়।গাঢ় রঙে এই ক্ষত বাআঁচড় দ্রুত ধরা পড়ে না।সাদা রঙের কারণে যেকোনোক্ষত সহজেই চিহ্নিত করা যায়, যারফলে দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হয়।

দীর্ঘস্থায়ী

বিমান অনেক প্রতিকূল পরিবেশেরমধ্যে দিয়ে উড়তে থাকেঝড়, বৃষ্টি, বিদ্যুতেরঝলকানি। যদি গাঢ় রঙব্যবহার করা হতো, তবেরঙ দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যেত। কিন্তুসাদা রঙ সহজে বিবর্ণহয় না এবং দীর্ঘদিনস্থায়ী থাকে, ফলে বিমানের রঙনষ্ট না হওয়ার নিশ্চয়তাথাকে।

বিপদ সংকেত

বিমান আকাশে উড়ার সময় পাখিরসাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটারঘটনা নতুন নয়। সাদারঙ পাখিদের দূর থেকে বিমানেরসনাক্তকরণ সহজ করে, তাইতারা বিমানের সাথে ধাক্কা খায়না। অন্য কোনো রঙহলে পাখিরা সহজে বিমান চিহ্নিতকরতে পারত না, ফলেদুর্ঘটনা বাড়ত। সাদা রঙ একটিবিপদ এড়ানোর সংকেত হিসাবেও কাজ করে।

খরচ কম

বিমান রং করার খরচখুবই বেশি। একটি বোয়িং ৭৩৭রং করতে প্রায় ২৪০লিটার রং প্রয়োজন, আরএকটি এয়ারবাস এ৩৮০ রং করতে৩৬০০ লিটার রং প্রয়োজন। কোনরঙই ব্যবহার করা হোক, রংয়েরখরচ অনেক। সাদা রঙ সবচেয়েসস্তা হওয়ায় বিমান সংস্থাগুলো এটি ব্যবহার করেথাকে।

ওজন কমে

সাদা রঙ বিমানের ওজনবাড়ায় না। গাঢ় রঙেএকাধিক প্রলেপ দিতে হলে, সেটিবিমানের ওজন বাড়িয়ে দেয়।বিমানের ওজন বাড়লে তেলেরখরচও বাড়ে। সাদা রঙের কারণেবিমান বেশি সাশ্রয়ী হয়।

তবে সব বিমান সাদারঙের হলেও, ব্যতিক্রম হলো নিউজিল্যান্ডের বিমান।এয়ার নিউজিল্যান্ড কিছু বিমানকে কালোরঙে রাঙিয়ে, দেশের জাতীয় রঙ গ্রহণ করেছে।এই কালো রঙের ট্রেন্ডপ্রথম চালু হয় রাগবিবিশ্বকাপের সময়, এবং এখনএয়ার নিউজিল্যান্ড তাদের সব ফ্লিটে একটিকালো বিমান অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ঢাকা বাংলা রিপোর্ট

How puzzling all these changes are! I'm never sure what I'm going to turn into a tidy little room.